আয়কর রিটার্ন জমা দেওয়ার আগে:
জরুরী বিষয় মনে রাখার প্রয়োজনীয় ।
প্রতি বছর আয়কর রিটার্ন (Income Tax Return - ITR) জমা দেওয়া ভারতের প্রতিটি নাগরিকের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব। এটি কেবল আইনি বাধ্যবাধকতাই নয়, বরং আপনার আর্থিক স্বচ্ছতা এবং দেশের উন্নয়নে আপনার অবদানকেও প্রতিফলিত করে। ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষের জন্য (যার আয় বর্ষ হল ২০২৪-২৫), আয়কর রিটার্ন দাখিল করার আগে কিছু মূল বিষয় এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সম্পর্কে জেনে রাখা অত্যন্ত জরুরি। সঠিক সময়ে এবং নির্ভুলভাবে রিটার্ন জমা দিলে জরিমানা এড়ানো যায় এবং আপনি আর্থিকভাবে সুরক্ষিত থাকতে পারেন।
আয়কর রিটার্ন কেন জমা দেবেন?
- আইনি বাধ্যবাধকতা: ভারতের আয়কর আইন অনুযায়ী, নির্দিষ্ট আয়ের সীমা অতিক্রমকারী এবং কিছু নির্দিষ্ট পেশার ব্যক্তিদের জন্য আয়কর রিটার্ন জমা দেওয়া বাধ্যতামূলক।
- আর্থিক স্বচ্ছতা: এটি আপনার আয়ের উৎস, ব্যয় এবং সম্পদের একটি আনুষ্ঠানিক রেকর্ড তৈরি করে, যা ব্যাংক ঋণ, ভিসা আবেদন বা অন্যান্য আর্থিক লেনদেনের ক্ষেত্রে সহায়ক হতে পারে।
- জরিমানা এড়ানো: নির্ধারিত সময়ের মধ্যে রিটার্ন জমা না দিলে জরিমানা (late filing fees) এবং অন্যান্য আইনি জটিলতা সৃষ্টি হতে পারে।
২০২৫-২৬ সালের জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ও পরিবর্তন (সংক্ষিপ্ত):
আয়কর রিটার্ন সাধারণত পূর্ববর্তী আর্থিক বছরের (Financial Year) জন্য জমা দেওয়া হয়। অর্থাৎ, ২০২৫ সালের জুলাই মাসে আপনি যে রিটার্ন জমা দেবেন, তা ২০২৪ সালের ১লা এপ্রিল থেকে ২০২৫ সালের ৩১শে মার্চ পর্যন্ত আপনার আয়ের জন্য হবে।
- রিটার্ন দাখিলের সময়সীমা: সাধারণত, ব্যক্তি শ্রেণির করদাতাদের জন্য আয়কর রিটার্ন দাখিলের শেষ তারিখ হল ৩১শে জুলাই, যদি তাঁদের অ্যাকাউডিট করার প্রয়োজন না হয়। ব্যবসায়ী এবং যাদের অ্যাকাউডিট প্রয়োজন, তাঁদের জন্য সময়সীমা সাধারণত ৩১শে অক্টোবর। তবে, সেন্ট্রাল বোর্ড অফ ডাইরেক্ট ট্যাক্স (CBDT) প্রয়োজনে এই সময়সীমা বাড়াতে পারে।
- করমুক্ত আয়ের সীমা: বর্তমানে, নতুন কর ব্যবস্থা (New Tax Regime) এবং পুরাতন কর ব্যবস্থা (Old Tax Regime) উভয়ই বিদ্যমান।
- নতুন কর ব্যবস্থা: ৭ লক্ষ টাকা পর্যন্ত মোট আয় করমুক্ত, যদি আপনি কোনো ছাড় বা ডিডাকশন না নেন।
- পুরাতন কর ব্যবস্থা: আড়াই লক্ষ টাকা পর্যন্ত করমুক্ত (৬০ বছরের কম বয়সীদের জন্য)। ৬০ থেকে ৮০ বছরের জন্য ৩ লক্ষ টাকা, এবং ৮০ বছরের বেশি বয়সীদের জন্য ৫ লক্ষ টাকা। এখানে আপনি ধারা 80C, 80D ইত্যাদির অধীনে ছাড় নিতে পারবেন।
- গুরুত্বপূর্ণ: সরকার নতুন কর ব্যবস্থাকে ডিফল্ট হিসাবে ঘোষণা করেছে, তবে আপনি পুরাতন কর ব্যবস্থায় থাকার বিকল্প বেছে নিতে পারেন।
- সর্বনিম্ন কর: ভারতে ন্যূনতম বিকল্প কর (AMT) সাধারণত কর্পোরেট এবং নির্দিষ্ট কিছু নন-কর্পোরেট করদাতাদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হয়, ব্যক্তি শ্রেণির ক্ষেত্রে সরাসরি ন্যূনতম করের ধারণাটি ভিন্ন।
- বিনিয়োগ রেয়াত (পুরাতন কর ব্যবস্থা): পুরাতন কর ব্যবস্থায়, ধারা 80C, 80D, 80G ইত্যাদির অধীনে নির্দিষ্ট কিছু খাতে বিনিয়োগ করলে আপনি কর রেয়াত বা ডিডাকশন পেতে পারেন, যা আপনার প্রদেয় করের পরিমাণ কমিয়ে দেবে। নতুন কর ব্যবস্থায় এই ডিডাকশনগুলি সাধারণত পাওয়া যায় না।
আয়কর রিটার্ন জমা দেওয়ার আগে যে মূল বিষয়গুলি খেয়াল রাখবেন:
- আপনার PAN (Permanent Account Number) নিশ্চিত করুন: আয়কর রিটার্ন জমা দেওয়ার জন্য একটি বৈধ PAN থাকা বাধ্যতামূলক।
- আয়ের উৎস চিহ্নিত করুন: আপনার আয়ের সকল উৎস পরিষ্কারভাবে চিহ্নিত করুন। যেমন:
- বেতন (চাকরি থেকে আয়)
- বাড়ি ভাড়া থেকে আয় (Income from House Property)
- ব্যবসা বা পেশা থেকে আয় (Profits and Gains from Business or Profession)
- মূলধন লাভ (Capital Gains - শেয়ার, সম্পত্তি বিক্রয় ইত্যাদি থেকে)
- অন্যান্য উৎস থেকে আয় (Income from Other Sources - যেমন: ব্যাংক সুদ, ডিভিডেন্ড, লটারি, ইত্যাদি)
- ব্যয়ের হিসাব রাখুন (যদি পুরাতন কর ব্যবস্থা বেছে নেন): আপনার ব্যক্তিগত ও পারিবারিক খরচের একটি স্পষ্ট হিসাব রাখুন, বিশেষ করে যদি আপনি ধারা 80C, 80D ইত্যাদির অধীনে ছাড় নিতে চান।
- বিনিয়োগের প্রমাণপত্র সংগ্রহ করুন (যদি পুরাতন কর ব্যবস্থা বেছে নেন): যদি আপনি কর রেয়াত পেতে চান, তবে আপনার বিনিয়োগের সকল প্রমাণপত্র (যেমন: জীবন বীমা প্রিমিয়াম, ভবিষ্যৎ তহবিলে অবদান, ELSS, গৃহঋণের সুদ, স্বাস্থ্য বীমা প্রিমিয়াম ইত্যাদি) সংগ্রহ করুন।
- Form 26AS এবং Annual Information Statement (AIS) পরীক্ষা করুন: এই দুটি ডকুমেন্ট আপনার আয় এবং উৎসে কর কর্তনের একটি পূর্ণাঙ্গ চিত্র দেয়। এটি নিশ্চিত করে যে আপনার আয়ের সাথে সরকারি রেকর্ডের মিল আছে। Form 26AS আপনার PAN নম্বরের বিপরীতে জমা পড়া সকল TDS (Tax Deducted at Source) এবং TCS (Tax Collected at Source) দেখায়। AIS হল আরও বিস্তারিত, যা আপনার অন্যান্য আর্থিক লেনদেন, যেমন শেয়ার কেনাবেচা, ব্যাংক সুদ ইত্যাদিও দেখায়।
- পূর্ববর্তী বছরের রিটার্ন: আপনার যদি গত বছর আয়কর রিটার্ন জমা দেওয়া থাকে, তাহলে সেই কপিটি হাতে রাখুন। এটি বর্তমান বছরের হিসাব মেলাতে সহায়ক হবে।
আয়কর রিটার্ন দাখিলের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র:
সাধারণ কাগজপত্র:
- PAN কার্ড।
- আধার কার্ড।
- ব্যাংক অ্যাকাউন্টের বিবরণ (অ্যাকাউন্ট নম্বর, IFSC কোড)।
- গত বছরের আয়কর রিটার্নের কপি (যদি থাকে)।
আয়ের উৎস ভেদে অতিরিক্ত কাগজপত্র:
বেতনভোগী ব্যক্তির জন্য:
- Form 16 (নিয়োগকর্তা কর্তৃক প্রদত্ত, যেখানে মোট বেতন, ভাতা, এবং উৎসে কর কর্তনের বিবরণ উল্লেখ থাকবে)।
- সংশ্লিষ্ট ব্যাংক স্টেটমেন্ট।
ব্যবসা বা পেশার মালিকের জন্য:
- ট্রেড লাইসেন্স বা পেশাগত সনদ (যদি প্রযোজ্য হয়)।
- লাভ-ক্ষতির হিসাব (Profit and Loss Statement)।
- ব্যালেন্স শীট (Balance Sheet)।
- বিক্রয় ও ক্রয়ের ভাউচার/রেকর্ড।
- ব্যবসায়িক ব্যাংক স্টেটমেন্ট।
বাড়ি ভাড়ার আয়ের জন্য:
- ভাড়া চুক্তিপত্র (যদি থাকে)।
- ভাড়া প্রাপ্তির রসিদ।
- মিউনিসিপাল ট্যাক্স পরিশোধের রসিদ (যদি থাকে)।
- গৃহঋণের সুদ পরিশোধের সার্টিফিকেট (যদি থাকে)।
বিনিয়োগ রেয়াতের জন্য (যদি পুরাতন কর ব্যবস্থা বেছে নেন):
- ধারা 80C-র জন্য:
- জীবন বীমা প্রিমিয়াম পরিশোধের রসিদ।
- PPF, EPF, VPF অ্যাকাউন্টের স্টেটমেন্ট।
- ELSS (Equity Linked Saving Scheme) বিনিয়োগের প্রমাণপত্র।
- শিশুদের টিউশন ফি-এর রসিদ।
- গৃহঋণের মূল অর্থ পরিশোধের সার্টিফিকেট।
- সুকন্যা সমৃদ্ধি যোজনা বা NSC (National Savings Certificate) বিনিয়োগের প্রমাণপত্র।
- ধারা 80D-র জন্য: স্বাস্থ্য বীমা প্রিমিয়াম পরিশোধের রসিদ।
- ধারা 80G-র জন্য: অনুমোদিত প্রতিষ্ঠানে দান করার রসিদ।
- ধারা 80EEA/EEB-র জন্য: ইলেকট্রিক ভেহিকল বা সাশ্রয়ী মূল্যের বাড়ির জন্য নেওয়া ঋণের সুদের সার্টিফিকেট (যদি প্রযোজ্য হয়)।
অন্যান্য আয়ের জন্য:
- FD (ফিক্সড ডিপোজিট) এবং সেভিংস অ্যাকাউন্টের সুদের সার্টিফিকেট বা ব্যাংক স্টেটমেন্ট।
- ডিভিডেন্ড স্টেটমেন্ট।
- মূলধন লাভ/ক্ষতির হিসাব (Capital Gains Statement) - শেয়ার বা মিউচুয়াল ফান্ড বিক্রয়ের জন্য।
উপসংহার:
আয়কর রিটার্ন দাখিল একটি বার্ষিক প্রক্রিয়া। সঠিক প্রস্তুতি এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ করে রাখলে এই প্রক্রিয়াটি অনেক সহজ হয়ে যায়। ভারতের আয়কর বিভাগ (Income Tax Department) এখন অনলাইন ফাইল করার প্রক্রিয়াটি সহজ করে দিয়েছে, যা আয়কর ই-ফাইলিং পোর্টালে (e-filing portal) গিয়ে সম্পন্ন করা যায়। যদি আপনার আয়কর সংক্রান্ত বিষয়ে কোনো জটিলতা থাকে বা আপনি নিশ্চিত না হন, তাহলে একজন অভিজ্ঞ চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট (CA) বা ট্যাক্স পরামর্শকের সাহায্য নিতে দ্বিধা করবেন না। মনে রাখবেন, সময়মতো এবং নির্ভুলভাবে আয়কর রিটার্ন জমা দেওয়া একটি দায়িত্বশীল নাগরিকের পরিচয়।
আয়কর রিটার্ন দাখিল (২০২৫-২৬) সংক্রান্ত ১০টি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন
- কোন ট্যাক্স ব্যবস্থা বেছে নেওয়া উচিত (নতুন বনাম পুরাতন) এবং আমার জন্য কোনটি বেশি সুবিধাজনক হবে?
নতুন ট্যাক্স ব্যবস্থা এখন ডিফল্ট হলেও, অনেক করদাতা, বিশেষ করে যাদের 80C, 80D, HRA, গৃহঋণের সুদ ইত্যাদির মতো উল্লেখযোগ্য ছাড় রয়েছে, তারা পুরাতন ব্যবস্থায় বেশি সুবিধা পেতে পারেন। কোনটি তাদের জন্য বেশি কর সাশ্রয়ী হবে, তা নিয়ে অনেকেই দ্বিধায় আছেন।
- ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষের (২০২৫-২৬ অ্যাসেসমেন্ট ইয়ার) জন্য নতুন ট্যাক্স ব্যবস্থায় কী কী পরিবর্তন এসেছে?
নতুন ট্যাক্স ব্যবস্থায় বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আনা হয়েছে, যেমন করমুক্ত আয়ের সীমা ৪ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বৃদ্ধি এবং বেতনভোগী ব্যক্তিদের জন্য ১২.৭৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত কার্যকর করমুক্ত আয় (স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশন সহ)। এই সাম্প্রতিক পরিবর্তনগুলি সম্পর্কে অনেকেই স্পষ্ট ধারণা পেতে চাইছেন।
- ২০২৫-২৬ অ্যাসেসমেন্ট ইয়ারের জন্য আয়কর রিটার্ন দাখিলের শেষ তারিখ কবে, বিশেষ করে ITR ফর্মগুলির দেরিতে প্রকাশের কারণে?
সাধারণ শেষ তারিখ ৩১শে জুলাই হলেও, ITR-2 এবং ITR-3 ফর্মগুলির দেরিতে প্রকাশের কারণে কিছু করদাতার জন্য (যেমন ১৫ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ পর্যন্ত) সময়সীমা বাড়ানো হয়েছে। কারা এই বর্ধিত সময় পাবেন এবং কখন, তা নিয়ে বিভ্রান্তি রয়েছে।
- ITR-2 এবং ITR-3 ফর্মগুলি কি এখন ফাইল করার জন্য উপলব্ধ, এবং করদাতাদের কী করা উচিত যদি তারা এখনও অপেক্ষা করেন?
জুলাই ২০২৫-এর শুরুতে, এই আরও জটিল ITR ফর্মগুলির প্রকাশে বিলম্বের খবর পাওয়া যাচ্ছে। যাদের এই ফর্মগুলি ফাইল করতে হবে, তারা সময়সীমা পূরণ করা এবং এই বিলম্বের প্রভাব নিয়ে উদ্বিগ্ন।
- ২০২৪ সালের ২৩শে জুলাই থেকে কার্যকর হওয়া মূলধন লাভের (Capital Gains) সংশোধিত কর ব্যবস্থা আমার ২০২৫-২৬ অ্যাসেসমেন্ট ইয়ারের ITR দাখিলে কীভাবে প্রভাব ফেলবে?
বাজেট ২০২৪-এ তালিকাভুক্ত শেয়ার এবং ইক্যুইটি ফান্ডের মূলধন লাভের কর ব্যবস্থায় উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আনা হয়েছে। করদাতাদের জানতে হবে কিভাবে ২৩শে জুলাই, ২০২৪-এর আগে ও পরের লাভ রিপোর্ট করতে হবে।
- ই-ফাইলিং পোর্টালে সাধারণ প্রযুক্তিগত সমস্যাগুলি (যেমন লগইন সমস্যা, Form 26AS/AIS-এর অসঙ্গতি, OTP ব্যর্থতা) কী কী?
ডিজিটাইজেশনের প্রচেষ্টা সত্ত্বেও, অনেক ব্যবহারকারী এখনও লগইন সমস্যা, ধীর পোর্টাল পারফরম্যান্স, ই-ভেরিফিকেশনের জন্য OTP ব্যর্থতা এবং প্রি-ফিল্ড ডেটাতে অসঙ্গতির মতো সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন, যা তাদের জন্য বিরক্তির কারণ।
- আমি কিভাবে নিশ্চিত করব যে আমার আয়ের সমস্ত উৎস সঠিকভাবে রিপোর্ট করা হয়েছে, বিশেষ করে যেগুলির উপর TDS কাটা হয়নি (যেমন কিছু সুদের আয়, ফ্রিল্যান্স আয়, ক্রিপ্টো আয়)?
ক্রমবর্ধমান যাচাই-বাছাই এবং AIS/TIS-এর গুরুত্বের সাথে, করদাতারা নিশ্চিত হতে চাইছেন যে TDS কাটা হয়নি এমন আয় সহ সমস্ত আয় সঠিকভাবে ঘোষণা করা হয়েছে, যাতে নোটিশ এবং জরিমানা এড়ানো যায়।
- ২০২৫-২৬ অ্যাসেসমেন্ট ইয়ারের ITR দাখিলের জন্য Form 16 এবং ব্যাংক স্টেটমেন্ট ছাড়াও আর কী কী কাগজপত্র অত্যাবশ্যক?
মৌলিক কাগজপত্রগুলি জানা থাকলেও, বিনিয়োগের প্রমাণপত্র (পুরাতন ব্যবস্থার জন্য), নির্দিষ্ট সম্পত্তির আয়ের নথি বা কম প্রচলিত আয়ের উৎসগুলির জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চাওয়া হচ্ছে।
- দেরিতে ফাইল করা বা ভুল ITR ফর্ম নির্বাচন করার পরিণতি কী, এবং কিভাবে সেগুলি এড়ানো যায়?
সময়সীমা মিস করা বা ভুল ফর্ম ব্যবহার করার মতো সাধারণ ভুল করলে জরিমানা, ক্যারি-ফরোয়ার্ড সুবিধার ক্ষতি এবং প্রক্রিয়াকরণে বিলম্বের বিষয়ে অনেক করদাতা উদ্বিগ্ন।
- নতুন ট্যাক্স ব্যবস্থা থেকে অপ্ট আউট করার প্রক্রিয়া কী, এবং এর জন্য প্রয়োজনীয় নির্দিষ্ট পদক্ষেপ ও ফর্ম (যেমন Form 10-IEA) কী কী, বিশেষ করে যাদের ব্যবসায়িক আয় রয়েছে?
যেহেতু নতুন ব্যবস্থা ডিফল্ট, তাই যারা পুরাতন ব্যবস্থায় থাকতে চান, তাদের সঠিক পদ্ধতি এবং Form 10-IEA (যা ব্যবসায়িক বা পেশাগত আয় আছে এমন ব্যক্তিদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ) ফাইল করার প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে জানতে হবে। ব্যবসায়িক আয় আছে এমন ব্যক্তিদের জন্য এককালীন পরিবর্তনের সীমাবদ্ধতা নিয়েও উদ্বেগ রয়েছে।