শেয়ারবাজারের অস্থিরতার তুলনায় ভারতের আয়-ভিত্তিক বিনিয়োগে রয়েছে দীর্ঘমেয়াদে স্থিতিশীল রিটার্ন
ভারতের মতো বিকাশমান দেশে অনেক বিনিয়োগকারী দ্রুত লাভের আশায় শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করেন। কিন্তু দীর্ঘমেয়াদি নিরাপত্তা ও নির্ভরযোগ্য রিটার্ন চাইলে আয়-ভিত্তিক (Yield-based) বিনিয়োগ হতে পারে কার্যকর এবং স্থিতিশীল পথ।
আয়-ভিত্তিক বিনিয়োগ মানে কী?
- Public Provident Fund (PPF)
- National Savings Certificate (NSC)
- Senior Citizen Savings Scheme (SCSS)
- Fixed Deposits (FD)
- Dividend-paying stocks (যেমন: ITC, Coal India)
- REITs (Real Estate Investment Trusts)
স্টক মার্কেট বনাম আয়-ভিত্তিক বিনিয়োগ
COVID-19 এর সময় যখন Nifty 30%-এর বেশি পড়ে গিয়েছিল, তখন PPF বা FD-এর মতো বিনিয়োগে রিটার্ন ছিল স্থিতিশীল। শেয়ারবাজার লাভ দিতে পারে, তবে তার সাথে ঝুঁকিও বড়। Yield-based বিনিয়োগে রিটার্ন কম হলেও অনেক বেশি নির্ভরযোগ্য ও মানসিকভাবে শান্তিপূর্ণ।
কম্পাউন্ডিং-এর জাদু
PPF-এ ৭.১% হারে ₹১ লক্ষ বিনিয়োগ করলে ১৫ বছর পর তা ₹২.৮ লক্ষেরও বেশি হতে পারে। একইভাবে, ডিভিডেন্ড স্টক থেকে রিটার্ন পুনর্বিনিয়োগ করলে আয় দ্রুত বাড়ে।
মধ্যবিত্ত ও অবসরপ্রাপ্তদের জন্য আদর্শ
ভারতের লক্ষ লক্ষ নাগরিক মাসিক আয় নিশ্চিত করতে SCSS, FD বা Post Office MIS-এর মতো স্কিমে বিনিয়োগ করেন। কর ছাড়ের জন্য PPF ও ট্যাক্স সেভিং FD চাহিদাসম্পন্ন।
ভারসাম্যপূর্ণ পোর্টফোলিও (Balanced Investment)
বয়স | স্টক | আয়-ভিত্তিক বিনিয়োগ |
---|---|---|
২৫–৪০ বছর | ৭০% | ৩০% |
৪১–৫৫ বছর | ৫০% | ৫০% |
৫৬+ বছর | ২৫% | ৭৫% |
উপসংহার
PPF, FD, বন্ড বা REIT — এই সব আয়-ভিত্তিক বিনিয়োগ বিনিয়োগ ভারতীয় বিনিয়োগকারীদের জন্য ঝুঁকিমুক্ত, স্থিতিশীল এবং লাভজনক অপশন। উচ্চ রিটার্নের আশায় ঝুঁকিপূর্ণ শেয়ারবাজারে যাওয়ার আগে চিন্তা করুন—স্থায়িত্বই দীর্ঘমেয়াদে সত্যিকারের সাফল্যের চাবিকাঠি।